বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
নড়াইলে মদসহ বাঁধন বিশ্বাস গ্রেফতার আজ ও আগামী কালের আবহাওয়া পূর্বাভাস কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর প্রতিবাদ সভা রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত রামরায় দিঘি লক্ষ্মীপুরে নিষেধাজ্ঞার ভেতরেও নতুন ১০ ইটভাটা নড়াইলে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার র‌্যাব-১১’র অভিযানে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ধুনটে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালন নড়াইলে পৃথক অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ নানা আয়োজনে পাবনায় এসএটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন পলিমাটি কর্তৃক শীতবস্ত্র উপহার শহীদ আবু সাঈদের বাবা-মা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী ধুনটে গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ পাবনায় আ’লীগের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে বিএনপি’র বিক্ষোভ পীরগঞ্জে নার্সের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সেবা না দেয়ার অভিযোগ রাণীশংকৈলে যুব ঐক্যের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ কিশোরগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে ট্রাক্টর আহত ২ লক্ষ্মীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় শত বছরের পুরাতন রাস্তা আউলিবেড়া দিয়ে বন্ধ রাণীশংকৈলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক কারবারিকে কারাদন্ড

পতাকা মামলা থেকে অব্যহতি পেলেন বেরোবির শিক্ষক কর্মকর্তারা

মোঃ কামরুজ্জামান- বেরোবি প্রতিনিধিঃ
জাতীয় পতাকা অবমাননা করার মতো কোনো প্রমাণ না থাকায় এ বিষয়ে দায়ের করা মামলা থেকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ১৯ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অব্যহতি প্রদান করেছেন রংপুর জজকোর্ট।

গত ২৫শে জুলাই রংপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ মোঃ তারিখ হোসেন ওই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গঠিত চার্জ বাতিল করে মামলা হতে তাঁদের অব্যহতি প্রদান করেন। গত রবিবার প্রকাশিত উক্ত রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি ‘আজকের প্রত্রিকার’ হতে এসেছে।

জানা যায়- ২০২০ইং সালের ১৬ই ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর বিভিন্ন বিভাগের কিছু সংখ্যক শিক্ষক-কর্মকর্তা জাতীয় পতাকা সদৃশ ব্যানার হাতে স্বাধীনতা স্মারক চত্ত্বরে ছবি তোলেন।

উক্ত ছবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মাহামুদুল হক তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করে ভাইরাল করলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২০ইং তারিখে রংপুর মহানগরীর তাজহাট থানায় মাহামুদুল হক, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মশিউর রহমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম জিডি করেন। এরপর রংপুর মেন্ট্রোপলিটন আদালত-৩ এটি এনজিআর মামলা হিসেবে রেকর্ড করে এবং গত ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২১ইং তারিখে বিভিন্ন বিভাগের ১৮ জন শিক্ষক ও এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

উক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তারা হলেন, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ডঃ আর এম হাফিজুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মোঃ মোরশেদ হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ পরিমল চন্দ্র বর্মণ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান ও প্রভাষক মোঃ রহমতুল্লাহ, ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মোঃ নুর আলম সিদ্দিক, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ছদরুল ইসলাম সরকার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার সরকার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মোঃ কামরুজ্জামান ও প্রভাষক আবু সায়েদ, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মোঃ শাহজামান, ডঃ মোঃ রশীদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক চালর্স ডারউইন ও কর্মকর্তা শুভংকর চন্দ্র সরকার, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাসুদ-উল-হাসান, ইতিহাস ও প্রত্বতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাত আলী, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোস্তফা কাইউম শারাফাত, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাম প্রসাদ বর্মণ এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক প্রভাষক মোঃ শামীম হোসেন।

বিচারিক আদালতের গঠন করা উক্ত চার্জকে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তার পক্ষ থেকে রংপুর জজকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্র উক্ত ফৌজাদারী মামলার বাদী হলেও বেরোবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মাহামুদুল হক এবং গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান মামলায় পক্ষ হওয়ার জন্য আবেদন করেন।

রংপুর জেলা জজ তাঁদের আবেদন নামঞ্জুর করলে তাঁরা এবিষয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন এবং সেখানেও পরপর দুটি বেঞ্চ তাদের আবেদন না মঞ্জুর করে। এর ফলে দীর্ঘদিন রিভিশন মামলার শুনানী ব্যহত হয়।

এরপর গত ২৫শে জুলাই তারিখে দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারিক আদালতের চার্জশীট বাতিল করে মামলা থেকে আসামীদের অব্যহতি দিয়েছেন রংপুর জজকোর্টের ২য় আদালতের জজ মোঃ তারিখ হোসেন।

উক্ত রায়ে জজ উল্লেখ করেন- মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আসামীগণ ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় পতাকা অবমাননা করেন নি। তারা ব্যানার আকারে জাতীয় পতাকার অনুরূপ ব্যানার ব্যবহার করেছিলেন। তারা সরাসরি বিকৃত কওে জাতীয় পতাকা কোন অফিস বা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করেননি।

এছাড়াও আসামীগণকে স্বাধীনতাবিরোধী দলের সমর্থক মর্মে জিডিতে উল্লেখ করা হলেও প্রসিকিউশন রিপোর্টে তা পাওয়া যায় না। বরং আসামীদের সকলেই সরকার দলীয় (স্বাধীনতার পক্ষের) শিক্ষক দলের সমর্থক। কাজেই তারা ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছেন বলে বিশ্বাস করা যায় না।

এছাড়াও আসামীগণের ফেসসবুক ফ্রেন্ডদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় পতাকা অবমাননা করেন নি।

বিচারক তার রায়ে আরো বলেন- ফৌজদারী অপরাধের প্রাথমিক ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে মিনস রিয়া (আসল উদ্দেশ্য), কিন্তু আসামীদের ফেসবুক স্ট্যাটাস ও পরবর্তী আচরণ হতে প্রতীয়মান হয় যে, জাতীয় পতাকা অবমাননা করার ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ে তারা জাতীয় পতাকা নয় বরং ব্যানারে জাতীয় পতাকার অনুরূপ আকৃতি ব্যবহার করেছিলেন।

রংপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ মামলার পুর্বাপর আদেশ পর্যালোচনা করে আসামীপক্ষের

আইনজীবীর উদ্বৃতি দিয়ে আরো জানান- বাংলাদেশের নোংরা শিক্ষক রাজনীতির কুশীলব হিসেবে জনাব মাহামুদুল হক থানা পুলিশ ও বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলকে প্রভাবিত করে আসামীগণকে পদোন্নতি হতে বঞ্চিত করার অসৎ অভিপ্রায়ে অতি উৎসাহী হয়ে আসামীগণকে হয়রানি করার জন্য মাহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে মামলা করেছিলেন এবং অত্র মামলায় ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করে রিভিশনকারীদের রিভিশন মামলা মঞ্জুর না হওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

এবিষয়ে, আসামীপক্ষের আইনজীবী রংপুর জজকোর্টেও সিনিয়র এডভোকেট জহিরুল হক জানান- তারা ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় পতাকা অবমাননা করেন নি| এখন আদালতের রায় এ তারা সন্তুষ্ট।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com